আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাওড়াতে লিপির উপর গুলির ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কায়েতপাড়ার নাওড়াতে গত ১২ নভেম্বর রফিক সমর্থকদের হামলায় লিপি আক্তার (৩২) নামের একজন বুকে গুলিবিদ্ধ সহ ৮জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ লিপি আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি জোছনা আক্তারের মেয়ে। লিপি আক্তারের উপর গুলির ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর রাতে লিপি আক্তারের ভাই রুবেল মিয়া বাদী হয়ে ৩৩ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

সুত্রের খবর এঘটনায় গুলিবর্ষণের অভিযোগে নাছির উদ্দিন (৩২) নামের এক সন্ত্রাসীকে র‌্যাব গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। নাওড়া গ্রামের আওয়ামীলীগ সমর্থক আহত নূরে আলম (৩২), রাজু আহমেদ (২২), ওয়াসিম (৩৬), জয়নাল আবেদিনকে (২৮) রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলালীগের সভাপতি জোছনা আক্তার বলেন, ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। নাওড়া গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম রফিকের ছোটভাই আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানের আনারস প্রতীকে ৬৫৮ ভোটে পরাজয় হয়। এরপর থেকে ভূমিদস্যু রফিক ও তার ভাই মিজানসহ নাওড়া এলাকার সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। গত ১২ নভেম্বর শুক্রবার বিজয়ী চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাহেদ আলীর নির্বাচনী কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা ২/৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় ।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক পুলিশ কর্তকর্তা জানান, রফিক নির্বাচনে হারলে কি হবে। সে নাওড়াতে তার প্রভাব ধরে রাখতে নৌকার সমর্থকদের উপর হামলা করছে। বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে নাওড়ায় একটা ক্যাম্প করছি। সেই ক্যাম্পে পুলিশ আছে। যিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাকে পুলিশ ঢাকা মেডিকেলে পৌছে দিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাই নাই।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (গ- সার্কেল) আবির হোসেন, র‌্যাব ও বিজিবির কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, নির্বাচনে হেরে গিয়ে রফিক ও তার ভাই মিজান এলাকায় বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। যারা তাদেরকে ভোট দেয় নাই তাদের উপর হামলা ও হুমকি দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আমরা রফিকের গ্রেফতার চাই।